রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সায়েন্স ক্লাব একটি অরাজনৈতিক সংগঠন, যা মানুষের মাঝে বিজ্ঞানকে জনপ্রিয় করে তুলতে কাজ করে।
২০১৫ সালের ১৭ই জানুয়ারি বিজ্ঞানমনস্ক কিছু শিক্ষার্থী বিজ্ঞানের প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব মানুষের মাঝে তুলে ধরতে “In Science We Trust” স্লোগানে “রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সায়েন্স ক্লাব” এর যাত্রা শুরু করে। ১৭ই জানুয়ারি অনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু হলেও এর পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি আগে থেকেই নেওয়া হয়েছিলো। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সহযোগিতা ও ক্লাবের প্রতিটি সদস্যের অক্লান্ত পরিশ্রমে ও চেষ্টায় ক্লাবটি আজ নবম বছরে পদার্পন করেছে। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও দিন টি স্মরণীয় করে রাখতে আয়োজন করা হয় “8th RUSC Anniversary Celebration 2023” দিনটি উপলক্ষে স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের সামনে থেকে একটি র্যালি শুরু করে এবং তা ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে।এসময় ক্লাবের সদস্যদের সাথে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর ড. মো: তারিকুল হাসান, প্রফেসর ড. এ এফ এম রাশেদুল হাসান। এবং আরো উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সায়েন্স ক্লাবের স্থায়ী কমিটির সদস্য মো: রেজাউল করিম ও প্রাতিষ্ঠাকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক আল-সান শাহরিয়া। পরবর্তীতে নতুন অর্গানাইজার দের বরণ করে নেওয়া হয়। অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করেন সায়েন্স ক্লাবের সভাপতি আবিদ হাসান এবং সঞ্চালনা করেন ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুল লতিফ।
প্রতিষ্ঠা লগ্নে ২০-৩০ জন সদস্য নিয়ে যাত্রা শুরু করা সেই ক্লাবে বর্তমানে ২০০ জনের অধিক কার্যকরী সদস্য এবং প্রায় ৫০০ জনের অধিক অ্যালামনাই নিয়ে গঠিত বৃহৎ এক পরিবার।
ক্লাব টিকে থাকে কাজের মাধ্যমে। সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে গুটি গুটি পায়ে রাবি সায়েন্স ক্লাবের এই দীর্ঘ পথচলা।
ক্লাবে প্রতিমাসে ‘বিজ্ঞান আড্ডার’ আয়োজন করা হয়, যেখানে বিভিন্ন সমসাময়িক বিজ্ঞানের বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করা হয়।বিভিন্ন সময় স্কুল -কলেজে গিয়ে বিজ্ঞান বিষয়ক(সায়েন্স শো উল্লেখ্যযোগ্য) অনুষ্ঠান করা হয়। প্রতিবছর ক্লাবে সায়েন্স ফিয়েস্টা, বইমেলা, অলিম্পিয়াড, বিজ্ঞানমেলা, ডিএনএ দিবস, পাই দিবস,থ্যালাসেমিয়া দিবস, বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি সহ বিজ্ঞানের বিভিন্ন দিবস আয়োজন করা হয়।এরই মধ্যে ক্লাব সফলতার সাথে ষষ্ঠ বারের মতো ফিয়েস্টা এবং সামনে চতুর্থবারের মতো বইমেলা আয়োজন করতে যাচ্ছে।
২০১৮ সালে ক্লাবটি তার কাজের মাধ্যমে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর কর্তৃক নিবন্ধিত হয়। ক্লাবের সদস্যদের চিন্তাভাবনা, কথা বলা এবং শোনার দক্ষতা বিকাশের এবং অনুশীলনের সুযোগ বাড়ে যা ব্যক্তিগত ও কর্মজীবনে উপকারে আসে।
ক্লাবটি তার কাজের মাধ্যমে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এটি শুধু ক্যাম্পাসে নয়, জাতীয় পর্যায়ের প্রোগ্রাম করার মাধ্যমে দেশ ব্যাপি সুনাম অর্জন করেছে।
0 Comments