২৫ এপ্রিল বিশ্ব ডিএনএ দিবস (World DNA Day- 2022)। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সায়েন্স ক্লাব ৮ম বারের মতো আয়োজন করতে যাচ্ছে এই দিবসটি। প্রতিবছর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সায়েন্স ক্লাবের উদ্যোগে এই দিনটি বিশেষভাবে পালন করা হয়ে থাকে।
ডিঅক্সিরাইবোনিউক্লিক অ্যাসিড (ইংরেজি: DNA) একটি নিউক্লিক অ্যাসিড যা জীবদেহের গঠন ও ক্রিয়াকলাপ নিয়ন্ত্রণের জিনগত নির্দেশ ধারণ করে। সকল জীবের ডিএনএ জিনোম থাকে। ২৫ শে এপ্রিল, ১৯৫৩ সালে জেমস ওয়াটসন, ফ্রান্সিস ক্রিক, মরিস উইলকিনস এবং রোজালিন্ড ফ্র্যাঙ্কলিন দ্বৈত হেলিক্স ডিএনএ আবিষ্কার করেছিলেন। যা আবিষ্কারে দ্বারা পৃথিবীতে নাটকীয়ভাবে উন্নত হলো মেডিসিন, ফরেনসিক এবং কৃষিখাত। তাইতো ২০০৩ সালে ২৫ এপ্রিলকে বিশ্ব ডিএনএ দিবস হিসেবে ঘোষণা করে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট এবং হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস।
বিশ্ব ডিএনএ দিবসের লক্ষ্য হলো ছাত্র, শিক্ষক এবং জনসাধারণকে জিনোমিক গবেষণার সর্বশেষ অগ্রগতি সম্পর্কে জানার এবং উদযাপন করার সুযোগ দেওয়া এবং সেই অগ্রগতিগুলি কীভাবে তাদের জীবনকে প্রভাবিত করতে পারে তা অন্বেষণ করা। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সায়েন্স ক্লাব প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রতিবছরই অনেক উৎসবমুখর পরিবেশে পালন করে আসছে এই দিবসটি।
এই বছর পবিত্র রমজান মাসের ছুটির জন্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সায়েন্স ক্লাব ভার্চুয়ালি প্ল্যাটফর্ম জুমে দিবসটি পালন করেছে । প্রোগ্রামটি সঞ্চালনা করেন ক্লাবের সহ-সভাপতি স্বাগতা বৃতি রায় গুপ্তা এবং সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক স্মরণ জাহান সরদার। প্রোগ্রামের সভাপতি ছিলেন ক্লাবের সভাপতি আবিদ হাসান।
প্রোগ্রামের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন জহুরুল ইসলাম মুন(প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রাতিষ্ঠাকালীন সভাপতি)। অনুষ্ঠানটির স্পিকার ছিলেন মোঃ ফরহাদুল ইসলাম স্যার ( সহযোগী প্রফেসর, বায়োকেমিস্ট্রি ও মলিকুলার বায়োলজি বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়)।তিনি তার বক্তব্যে বলেন,ডিএনএ আবিষ্কারের মাধ্যমে চিকিৎসা, কৃষি সহ জীববিজ্ঞান বিভিন্ন সেক্টরে যুগান্তকারী পরিবর্তন দেখা দিয়েছে।জিনোম সিকোয়েন্স আবিষ্কারের মাধ্যমে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ডায়াগনসিস, থেরাপি, চিকিৎসা সহ সকল ক্ষেত্রে এক অভাবনীয় সাফল্য দেখা দিয়েছে। ভবিষ্যতে আমাদের জীবনের চলার পথের প্রতিটি বিষয়ের টুলস হবে ডিএনএ।
প্রোগ্রামের প্রধান বক্তা ছিলেন ডঃ হাসিনা খান ম্যাম (বায়োকেমিস্ট্রি ও মলিকুলার বায়োলজি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়)।তিনি তার বক্তব্যে বলেন,প্রতিটি জীনের নির্দিষ্ট কাজ থাকে। জিন যদি পরিবর্তিত হয়ে যায় তাহলে জিন তার আগের সে কাজ আর করতে পারেনা । ডিএনএ সিকোয়েন্স এনালাইসিস এর মাধ্যমে একটি কলোনিতে কতগুলা অনুজীব আছে কি ধরনের অণুজীব আছে তা সহজেই নির্ণয় করা যায়।ডিএনএ এডিটিং এর মাধ্যমে জীবের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা খুব সহজেই সমাধান করা যাচ্ছে।
ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রফেসর গোলাম সাব্বির সাত্তার(উপাচার্য-রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়) বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর চৌধুরী মো. জাকারিয়া এবং প্রফেসর মো. সুলতান-উল-ইসলাম সহ ক্লাবের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য, স্থায়ী কমিটির সদস্য, আজীবন সদস্য, বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটি, সাধারণ সদস্য, অরগানাইজার এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। ক্লাবের সভাপতি আবিদ হাসান সমাপনী বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শেষ করে।
It was really an informative session indeed. Learned a lot of unknown ideas & explored many things.